হিফয বিভাগ

Rating:

Students Enrolled:

19

কেন হিফয পড়বেন?

কুরআন হিফয করা মানে আল্লাহর কালামকে অন্তরে ধারণ করা। এটি এমন এক ইবাদত, যার ফজিলত দুনিয়া ও আখিরাতে অপরিসীম। হাদীসে কুরআন হিফযকারীদের মর্যাদা, সওয়াব ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বহু বর্ণনা রয়েছে।

🔹 কুরআনের হাফেজদের জন্য জান্নাতে বিশেষ মর্যাদা নির্ধারিত:

রাসূল ﷺ বলেন: তোমরা কুরআন পাঠ কর। কারণ কিয়ামতের দিন তার পাঠকারীর জন্য সে শাফা’আতকারী হিসেবে আসবে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ৮০৪)

🔹 হাফেজদের জান্নাতে উচ্চ স্তর:

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (ক্বিয়ামাতে) কুরআন অধ্যয়নকারীকে বলা হবে, কুরআন পাঠ করতে করতে উপরে উঠতে থাকো। তুমি দুনিয়াতে যেভাবে ধীরেসুস্থে পাঠ করতে সেভাবে পাঠ করো। কেননা তোমার তিলাওয়াতের শেষ আয়াতেই (জান্নাতে) তোমার বাসস্থান হবে। (সুনানে আবু দাউদ : ১৪৬৪)

আরেক হাদীসে এসেছে:
রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্তরে কুরআন গেঁথে (মুখস্ত) রাখে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ মালিকের ন্যায়, যে উট বেঁধে রাখে। যদি সে উট বেঁধে রাখে, তবে সে উট তার নিয়ন্ত্রণে থাকে, কিন্তু সে বাঁধন খুলে দেয়, তবে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।[মুসলিম ৬/৩৩, হাঃ ৭৮৯, আহমাদ ৪৬৬৫]
🔹 হাফেজের জন্য পরিবারকেও পুরস্কার:
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং তদনুযায়ী আমল করে, ক্বিয়ামতের দিন তার পিতা-মাতাকে এমন মুকুট পরানো হবে যার আলো সূর্যের আলোর চাইতেও উজ্জ্বল হবে। ধরে নাও, যদি সূর্য তোমাদের ঘরে বিদ্যমান থাকে (তাহলে তার আলো কিরূপ হবে?)। তাহলে যে ব্যক্তি কুরআন অনুযায়ী আমল করে তার ব্যাপারটি কেমন হবে, তোমরা ধারণা করো তো! (আবু দাউদ, হাদীস: ১৪৫৩)
🔹 কুরআনের হিফয অন্তরকে আলোকিত করে:
রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা কুরআনের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। আল্লাহ্‌র কসম! যাঁর হাতে আমার জীবন! কুরআন বাঁধন ছাড়া উটের চেয়েও দ্রুত গতিতে দৌড়ে যায়।[মুসলিম ৬/৩৩, হাঃ ৭৯১, আহমাদ ১৯৫৬৩]
🔹 হাফেজের মর্যাদা মৃত্যুর পরেও:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুরআন ক্বিয়ামাত দিবসে হাযির হয়ে বলবে, হে আমার প্রভু! একে (কুরআনের বাহককে) অলংকার পরিয়ে দিন। তারপর তাকে সম্মান ও মর্যাদার মুকুট পরানো হবে। সে আবার বলবে, হে আমার প্রভু! তাকে আরো পোশাক দিন। সুতরাং তাকে মর্যাদার পোশাক পরানো হবে। সে আবার বলবে, হে আমার প্রভু! তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন। কাজেই তিনি তার উপর সন্তুষ্ট হবেন। তারপর তাকে বলা হবে, তুমি এক এক আয়াত পাঠ করতে থাক এবং উপরের দিকে উঠতে থাক। এমনিভাবে প্রতি আয়াতের বিনিময়ে তার একটি করে সাওয়াব (মর্যাদা) বাড়ানো হবে। (তিরমিযি, হাদীস: ২৯১৫)

সারকথা:

  • কুরআন হিফয করা মানে আল্লাহর কালামকে অন্তরে ধরে রাখা।

  • এটি ইহকাল ও পরকালের শ্রেষ্ঠ অর্জন।

  • এর ফজিলত শুধু হাফেজের জন্য নয়, বরং তার পিতামাতার জন্যও।

  • হিফয শিখে একজন মুসলিম দুনিয়ার জীবনে ইজ্জত, আখিরাতে জান্নাতের উচ্চস্তর পেতে পারে।

💚 তাই এখনই হিফয শুরু করুন — আপনার জীবনে বরকত ও জান্নাতের পথ উন্মুক্ত করুন। 

হাদীসের ভাষ্যমতে কুরআন যার যত বেশি পরিমাণ মুখস্ত থাকবে, তাঁর মর্যাদা ততবেশি হবে। তাই পুরো কুরআন মুখস্ত করতে পারলে তো সবচে ভাল; অন্যথায় যতটুকু সাধ্যে কুলায় তা মুখস্ত করে নেওয়া উচিত। অন্তত আমলী সূরাগুলো বা ৩০ নং পারাটা হলেও। এতে করে ব্যস্ত সময়ে মুখস্ত তিলাওয়াত করাসহ আরও নানাবিধ ফায়দা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো, হিফজের উসিলাতে প্রচুর পরিমাণে তিলাওয়াত করার সুযোগ হয়, যা সাধারণ সময়ে করা হয়ে উঠে না আমাদের। আরো অনেক বেশি ফজিলত তো রয়েছেই যেগুলা বলতে গেলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে।
✅ কারও তত্ত্বাবধানে থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে হিফজ করলে পড়াতে গতি ও উন্নতি আসে। সেই লক্ষ্যে তাকী হিফজ একাডেমির এই কোর্সটি।
⚡কেন TAQI Hifz Academy তে হিফজ কোর্সটি করবেন ❓
1️⃣ সাপ্তাহিক ৬ দিন ক্লাস – পুরো হিফজের সিস্টেম, অফলাইন হিফজখানা মাদ্রাসার মতোই।
2️⃣ প্রতিদিন কতটুকু পড়া হচ্ছে বা হচ্ছে না এগুলো সব কিছু নোট থাকবে। অর্থাৎ তার পড়ার যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করা হবে, যেটা পড়াকে আরও বেশি গতিশীল করবে ইনশাআল্লাহ!
3️⃣ অফলাইন মাদ্রাসায় যেমন যেকোনো পড়া মুখস্ত হয়ে যাওয়ার পর একজন অপর সাথীকে পড়া শোনাতে পারে, তাকী হিফয একাডেমিতেও তেমন আপনার মত অনেক সাথীকে পাবেন, তাদের কাছে পড়াশুনাতে পারবেন এবং চাইলে পড়াশোনার পর গল্প/পরামর্শ ইত্যাদি কথা বলতে পারবেন ইনশাআল্লাহ!
4️⃣ আন্তর্জাতিক মানের হাফেজা শিক্ষিকা দ্বারা শিক্ষা প্রদান ।
5️⃣ প্রত্যেকের আলাদাভাবে পড়া নেওয়া হয়, একজন একজন(ওয়ান-টু-ওয়ান) করে পড়া শোনা হয়।
6️⃣ মূল মাসিক ফি 1500 টাকা কিন্তু যাদের সামর্থ্য নেই তাদের জন্য 1400/1300/1200/1100/1000/900/800 টাকা।
7️⃣ আমাদের সর্বদা শিক্ষার্থীর মতামত, সুবিধা-অসুবিধা দিকে মেইন ফোকাস থাকে। এজন্য যেকোন বিষয়ে আমাদের নির্দ্বিধায় জানাতে পারেন।
8️⃣ প্রথমে ৫ দিন পর্যন্ত ফ্রি ক্লাস করে নিশ্চিত হয়ে নিবেন। ভালো না লাগলে নির্দ্বিধায় সেখানে বাদ দিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ!
হিফয কোর্স কতদিনে সম্পন্ন হয়?

সাধারণত একজন শিক্ষার্থী ২ থেকে ৪ বছরে পুরো কুরআন হিফয করতে পারে। এটি শিক্ষার্থীর বয়স, মেধা, অধ্যবসায় ও নিয়মিততা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।

হিফয শুরু করার জন্য নাজেরা জানা কি বাধ্যতামূলক?

হ্যাঁ, হিফয শুরু করার আগে নাজেরা ও তাজবিদ ঠিকভাবে জানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ শুদ্ধভাবে না পড়লে মুখস্থ করলেও ভুল হবে।

কোন বয়সে হিফয শুরু করা সবচেয়ে উপযুক্ত?

সাধারণভাবে ৬–১০ বছর বয়সের মধ্যেই শুরু করা উত্তম, কারণ এ বয়সে শিশুদের স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ থাকে। তবে বড়রাও চাইলে হিফয করতে পারেন।

হিফয শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাসের সময়সূচী কখন?

📆 প্রতিদিন তিন বেলা ক্লাস। (সপ্তাহে ৬ দিন)


ভোর 5:00am – 8:00am. (সবক, সাত সবক)

বিকাল 4:00pm – 5:00pm. (আমুখতা)

রাত 9:00pm – 10:00pm (আমুখতা)

হিফয চলাকালীন অন্য পড়াশোনার সাথে কিভাবে মেলানো যাবে?

আমরা চাইলে হাফ-টাইম মাদরাসা বা স্কুল সহ হিফয পরিচালনার সুযোগ দিই। আমাদের শিক্ষকেরা ব্যালান্স রুটিন তৈরি করে দেয় যাতে ছাত্রদের দ্বীন ও দুনিয়া একসাথে চলতে পারে।

মুখস্থের ভুলগুলো ঠিক করার জন্য কি ব্যবস্থা আছে?

হ্যাঁ, আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন মুরাজা’আ (পূর্বে হিফয করা অংশ পুনরায় রিভিশন) বাধ্যতামূলক। এছাড়া সাপ্তাহিক পরীক্ষাও নেয়া হয়।

মেয়েরা কি এই হিফয কোর্সে ভর্তি হতে পারবে?

অবশ্যই।
আমাদের মহিলা হিফয বিভাগ রয়েছে, যেখানে অভিজ্ঞ মহিলা শিক্ষিকা দ্বারা পাঠদান করা হয়।

হিফয চলাকালীন সাইকোলজিক্যাল বা মানসিক চাপ কিভাবে মোকাবিলা করবেন?

আমরা ছাত্রদের সাথে নিয়মিত মানসিক সহায়তা, উৎসাহ, এবং অভিভাবক কাউন্সেলিং চালু রাখি। প্রতিযোগিতা নয়, বরং ধারাবাহিক অগ্রগতিকে আমরা মূল্যায়ন করি।

হিফয শেষ করার পর কি কোনো সার্টিফিকেট দেওয়া হয়?

হ্যাঁ, সফলভাবে হিফয সম্পন্ন করার পর সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

{{ reviewsTotal }}{{ options.labels.singularReviewCountLabel }}
{{ reviewsTotal }}{{ options.labels.pluralReviewCountLabel }}
{{ options.labels.newReviewButton }}
{{ userData.canReview.message }}

Thank you!

We will get back to you ASAP.

Or if it's urgent you can call us: